Friday, April 18, 2014

৩২ বিট এবং ৬৪ বিট কি?

প্রযুক্তির এই সময়ে এখন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। আগের মত এখন আর কম্পিউটারের দেখা শুধু বিজ্ঞানাগার, অফিস আদালত অথবা বাসাতেই দেখা যায়না বরং এখন কিছু কিছু মুদি দোকানেও অনেক সময় কম্পিউটার দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। তবে অবাক হবার মূলত কিছুই নেই, একজন মুদি দোকানদার কেন প্রযুক্তির আলো থেকে বঞ্চিত হতে যাবেন!

যাই হোক, কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম না হলেও কম্পিউটার সংক্রান্ত এমন অনেক বিষয়ই আছে যেগুলো সাধারণ ব্যবহারকারীদের অজানা। এরকম বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ’৩২ বিট এবং ৬৪ বিটের প্রসেসর’। অনেকেই আছে এই বিষয়টি বোঝেন না। তাই আজকে আমি ৩২ এবং ৬৪ বিটের পার্থক্য নিয়ে আলচোনা করে বিষয়টি পরিষ্কার করার চেষ্টা করব।
আপনারা হয়ত খেয়াল করেছেন যে এখনকার সময়ে ইন্টারনেট থেকে কোন একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঐ একই সফটওয়্যারটি দুটি বিট ভার্শন আকারে পাওয়া যায়। কেননা, ৩২ বিট এবং ৬৪ বিটের প্রসেসর এবং এই কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমও বিট ভিত্তিক হয়ে থাকে।
যদিও, বেশির ভাগ ৩২ বিটের সফটওয়্যার ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করে থাকে তবে ৬৪ বিটের সফটওয়্যার ৩২ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করেনা আর কিছু ক্ষেত্রে কাজ করলেও তাতে অনেক প্রকার সমস্যা দেখা যায়। যাই হোক, চলুন জেনে নেই ৩২ বিট এবং ৬৪ বিটের পার্থক্যগুলো।

পার্থক্যঃ

> > আমাদের কম্পিউটারের মাঝে Kernel Patch Protection থাকে যা উইন্ডোজের নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত।
কম্পিউটারের প্রসেসর, হার্ডওয়্যার, ডিভাইস ড্রাইভার এর সাথে অন্যান্য সফটওয়্যারের সমন্বয় রক্ষা করে চলার একটি পদ্ধতি হচ্ছে kernel এবং এই kernel – এর উপর ভিত্তি করেই কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা হয়ে থাকে। ৩২ বিটের চাইতে ৬৪ বিটে উইন্ডোজের এই kernel patch protection অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে।
> > আমরা আমাদের কম্পিউটারে অনেক রকম হার্ডওয়্যারের জন্য বিভিন্ন ড্রাইভার ব্যবহার করে থাকি। এই ড্রাইভারগুলো নির্মান করার সময় নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একটি ডিজিটাল সাইন এর মাঝে দিয়ে দেয়।
ভাইরাস দ্বারা কম্পিউটার আক্রান্ত হয়ে গেলে সেই ডিজিটাল সাইন গুলো কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়ে যায় যার কারনে উইন্ডোজ সমস্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমে ডিজিটাল সাইন ছাড়া ড্রাইভার ইন্সটল করা যায়না। ৩২ বিটের জন্যেও এরকম সেটিং করে রাখা যায় তবে এই সেটিংটি ডিফল্ট ভাবে দেয়া থাকেনা।
> > ৬৪ বিট সমর্থিত প্রসেসরে ৩২ অথবা ৬৪ বিট – দু’ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা গেলেও ৩২ বিট সমর্থিত প্রসেসরে শুধু মাত্র ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায়।
> > ৩২ বিটের জন্য সাধারণত ৫১২ মেগাবাইট থেকে ৪ গিগাবাইট পর্যন্ত র‍্যাম রিকোমেন্ড করা হয় যেখানে ৬৪বিটের জন্য ৪ গিগাবাইট ব্যবহার করার জন্য বলা হয়। এর চেয়ে কম হলেও চলে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল ৪ গিগাবাইটের উপর র‍্যাম ব্যবহার করতে চায়লে অবশ্যই ৬৪বিট প্রসেসর আর উইন্ডোজ ব্যবহার করতে হবে।
কারণ ৩২ বিটে ৪ গিগাবাইটের উপর র‍্যামম ব্যবহার করা হলেও তা ব্যবহৃত হয় না। এমনকি অনেক সময় সর্বোচ্চ ৩ গিগাবাইট পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়ে বাকিগুলো র‍্যাম অব্যবহৃত থেকে যায় কারণ হার্ডওয়ার সাপোর্ট করে না। অন্যদিকে ৬৪বিটে ১ গিগাবাইট থেকে ১২৮ গিগাবাইট এর চেয়ে বেশি র‍্যাম সাপোর্ট করে।
> > যে সব কাজের জন্য বেশি র‍্যাম প্রয়োজন তার জন্য ৬৪বিটের বিকল্প নেই। যেমন হলিউডের যে ফিল্মগুলো তৈরি করা হয় তাতে সব ৬৪বিটের প্রোগ্রামগুলোই ব্যবহার করা হয়। তেমনি 3D, High powerful Graphics আর Multimedia’র জন্য ৬৪বিট একমাত্র সমাধান।
> > আমি উপরেই লিখেছি যে – বেশির ভাগ ৩২ বিটের সফটওয়্যার ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করে থাকে তবে ৬৪ বিটের সফটওয়্যার ৩২ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করেনা আর কিছু ক্ষেত্রে কাজ করলেও তাতে অনেক প্রকার সমস্যা দেখা যায়।
৬৪ বিটের প্রোগ্রামগুলো ৩২বিটের চেয়ে পারফরমেন্স ভাল দেখায়। যেমন ক্রাশ করা বা এরকম অন্যান্য সমস্যাগুলো থেকে ৬৪বিট প্রোগ্রামগুলো মুক্ত বললেই চলে।
উপরের পার্থক্য গুলো থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ৩২ বিটের তুলনায় ৬৪ বিট অনেক ক্ষেত্রেই ভালো।

যেভাবে বুঝবেন আপনার কম্পিউটারটি ৬৪ বিট না ৩২ বিটঃ

আগেই বলা হয়েছে যে আপনি যদি ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান তবে আপনার প্রসেসরকে অবশ্যই ৬৪ বিট সমর্থন করতে হবে। আপনি যদি এখনো না জেনে থাকেন যে আপনার প্রসেসরটি ৬৪ বিট সমর্থিত কি না এর জন্য আপনি Start Menu > My Computer > Properties – এ গেলেই দেখতে পারবেন। অথবা, CPU-Z নামের সফটওয়্যারটির মাধ্যমেও আপনি দেখে নিতে পারেন।
আশা করি, যারা ৩২ বিট এবং ৬৪ বিট সম্পর্কে জানতেন না তারা এ বিষয়টি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন।

ফ্রীল্যান্সিং কাজ করার জন্য ৫টি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট

দিন দিন বাংলাদেশে ফ্রীলান্সিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে , অনেকেই ইতোমধ্যে ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইটগোতে কাজ করে দারুন ভাবে সফল হয়েছেন ।
একটা কথা না বললেই নয় ; বাংলাদেশের অনেক সফটওয়্যার , ওয়েব এবং ডাটা-এন্ট্রি ফার্ম হয়েছে যারা এই ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে । এই ওয়েবসাইটগুলোতে সব ধরনের কাজ পাওয়া যায় ।
লেখা শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা ফ্রীলান্সিং করতে চাচ্ছেন , কিন্তু সঠিক দিক – নির্দেশনার অভাবে সফল হতে পারচ্ছেনা । এই নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটসমূহে কাজ খুঁজ এবং করতে পারেন ।
নিচে উল্লেখিত ৫ টি ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইট বাংলাদেশের ফ্রীলান্সারদের জন্য নির্ভরযোগ্য , কাজ করা থেকে শুরু করে টাকা উত্তোলন পর্যন্ত।
  1. Freelancer.com
  2. Odesk.com
  3. Elancer.com
  4. Guru.com
  5. Scriptlancer.com

Tuesday, April 15, 2014

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার ৪০ টিপস


সময়ের জনপ্রিয় পেশা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় কাজ করে, বেশ কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়। মনে রাখতে হবে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে সামনে মোকাবেলা করার মতো অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব বিষয় সমাধানের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে।যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার বিষয়ে চিন্তিত, তাদের কাজে লাগবে এরকম কয়েকটি টিপসঃ
১. নিজের মার্কেটিং করা : নতুন কাজ পাওয়া কিংবা পুরাতন ক্লায়েন্টের কাজ পুনরায় পেতে মার্কেটিং সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। নিজের যোগ্যতাগুলোকে তুলে ধরতে হবে। কখনোই থামা উচিত নয়, এমনকি ব্যস্ত থাকলেও। মনে রাখতে হবে পৃথিবী যোগ্যতাকে সম্মান করে।
২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকা : প্রত্যাশিত ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে ওডেস্ক কিংবা ফ্রিল্যান্সারের মত মার্কেটপ্লেসগুলোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য অনলাইন কমিউনিটিগুলো অন্যতম মাধ্যম। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেকে আপডেটেড রাখার চেষ্টা করতে হবে।
৩. নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করা : নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, যেখানে নিজের এক্সপার্টাইজ এবং কাজের সম্পূর্ণ বিবরণ স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এতে সুবিধা হলো, ওয়েবসাইটের ছোট একটা লিংক ক্লায়েন্টের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে।
৪. দক্ষতা প্রতিষ্ঠিত করতে ব্লগিং : আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন সেই বিষয়ে নিজেকে অন্যের কাছে দক্ষ এবং জ্ঞানী হিসেবে তুলে ধরতে ব্লগিং একটি দুর্দান্ত উপায়। তাই এই বিষয়ে নিয়মিত ব্লগিং করতে হবে।
৫. কাজের ভালো দিকগুলো জানা : প্রতিটি মানুষই কাজ এবং দক্ষতার দিক দিয়ে অনন্য। আপনার সেই অনন্যতাকে খুঁজে বের করতে হবে। আপনি কোন কাজটায় পারদর্শী সেটা জানা থাকলে কাজ করা এবং নিজের মার্কেটিং করা, দুটো কাজ করতেই আপনার অনেক সুবিধা হবে।
৬. পোর্টফোলিও আপডেটেড রাখা : নিয়মিত আপনার পোর্টফোলিও পর্যালোচনা এবং আপডেটেড রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার ভালো কাজগুলো যেন সবার আগে প্রদর্শিত হয়।
৭. কথা বলতে শেখা : সবসময় এটা ভাববেন না যে ক্লাইন্ট এসে আপনাকে নক করবে, সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করুন। সুযোগ যদি কড়া না নাড়ে তবে আগে দরজা বানান।
৮. সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের ব্যাপারে রিসার্চ করা : যাদের সঙ্গে কাজ করবেন তাদের সম্পর্কে ভালো করে কিছু না জেনেই কোন ধরণের চুক্তি না করাই ভাল। ক্লায়েন্ট এবং কাজ দুটো সম্পর্কেই আগে জেনে নিতে হবে। নইলে পরবর্তীতে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
৯. শুনতে শেখা এবং প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা : ক্লায়েন্ট কি চায় শুধুমাত্র সেটা ধারণা করেই কি করতে হবে সেটা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো। ভাল করে শুনতে হবে সে কি চায়, পরিস্কার ধারণা না পেলে প্রশ্ন করতে হবে।
১০. ভদ্র আচরণ করা : রূঢ় পরিবেশে বাস করলেও সেটি অন্যের কাছে প্রকাশ করা কোনভাবেই উচিত নয়। ভদ্র আচরণ আপনাকে লক্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী করে তুলবে। তাই সবার সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে হবে।
১১. আলোচনা করা : ক্লায়েন্টের পক্ষ থেকে যেকোনো প্রস্তাব বা শর্ত আপনাকে মেনে নিতে হবে তেমন কোনো নিয়ম নেই বা করবেন না। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি একটি চুক্তির সব দিক নিয়ে আলোচনা কিংবা দরাদরি করতে পারেন ।
১২. নিজের সুযোগ তৈরি করা : ক্লায়েন্ট কি চায় সেটা সম্পর্কে আপনি পুরো অবগত থাকবেন। কাজ সম্পর্কে যতটা সম্ভব সুনির্দিষ্ট ধারণা নিয়ে নিতে হবে।
১৩. নিরপেক্ষভাবে কাজের দাম মূল্যায়ন করা : অনেকে কাজ পাননা তাই কম খরচে ক্লায়েন্টকে সেবা প্রদান করতে চান। কখনোই এটা করবেন না, বরং মানসম্মত কাজ উপস্থাপন করে যথাযথ দাম নির্ধারণ করুন।
১৪. মানা করতে ভয় না পাওয়া : ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে প্রতিটি সুযোগই যে আপনার জন্যে যথাযথ হবে তেমনটি ভাবার কারণে নেই। যদি বুঝতে পারেন কাজটি আপনার জন্য না, তবে কাজটি প্রত্যাখ্যান করতে ভয় পাবেন না। হাতের কাজ ও সময় কতোটা আছে সেটা বিবেচনা করে হ্যাঁ বলুন। মনে রাখবেন, বিনীত হয়ে ‘না’ বলতে পারাও যোগ্যতার একটা অংশ।
১৫. কি কাজ করবেন সেটার লিখিত ব্যাখ্যা চান : কাজ শুরু করার আগে একটি লিখিত চুক্তি করে নিন অথবা কি কি কাজ করবেন সেটার একটা লিখিত নিয়ে নিন।
১৬. বিরক্ত হবেন না : কাজ শুরু করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার কাজের পরিবেশ আপনার কাজের সাথে যাতে সর্বোচ্চ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কারণ কাজের মাঝে মনযোগের বিক্ষেপ ঘটলে কাজটি শেষ করতে বেশি সময় লাগতে পারে কিংবা কাজের মান সম্পর্কে আপনি নিজেই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না।
১৭. রুটিন অনুসরণ করা : অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা এটা স্বীকার করেন, তারা যখন কাজের নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করে কাজ করেন তখন তাদের কাজের প্রোডাক্টিভিটি অনেকাংশেই বেড়ে যায়। তাই কাজ করার সময় রুটিন অনুসরণ করুন।
১৮. কাজ করার স্থানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা : নোংরা পরিবেশ আপনার কাজের গতি এবং সাহস অনেকখানি কমিয়ে দেয় যা আপনি হয়তো কখনো বুঝতেও পারবেন না। আপনি যদি অগোছালো প্রকৃতির মানুষ হয়ে থাকুন তবে আজ একদিনের জন্য হলেও কাজের স্থানটি গুছিয়ে তারপর কাজ করুন। বিশ্বাস করুন, পার্থক্যটা আপনি নিজেই টের পাবেন।
১৯. সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা : ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফলতা লাভের অন্যতম শর্ত হলো সুস্থ থাকা। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা অসুস্থতার জন্য কাজ করতে পারেন না। আর এই অসুস্থতার অন্যতম বড় কারণ হলো ভুল খাদ্যাভ্যাস। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
২০.ব্যায়াম করা : ব্যায়াম করলে নিজেকে অনেক বেশি ফুরফুরে লাগবে, মনযোগ বাড়বে, আর অনেক সুক্ষ কাজও অনেক দক্ষতার সাথে করতে পারবেন।
২১. মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া : কথাটা হয়তো কান্ডজ্ঞানহীনের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন দীর্ঘ সময় ধরে একনাগাড়ে কাজ করা আপনার প্রোডাক্টিভিটিকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিন, কাজের মাঝে আনন্দ খুঁজে পাবেন।
২২. প্রত্যাশা পূরণ করা : ক্লায়েন্টকে নিরাশ করবেন না, নির্ধারিত সময়ে কাজ জমা দিন এবং যা দিচ্ছেন তা যেন ক্লায়েন্টের শর্ত পূরণ করে সেটার প্রতি সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে।
২৩. ইনভয়েস পাঠানো : কাজ জমা দিয়েছেন, ক্লায়েন্টকে ইনভয়েস পাঠিয়ে দিন। অপেক্ষা করলে সেটার কথা আপনি কিংবা ক্লায়েন্ট যে কেউই ভুলে যেতে পারেন।
২৪. ধন্যবাদ বলা : থ্যাঙ্কস বলতে পারেন এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। কারো কাছে লক্ষণীয় হয়ে উঠার খুব সহজ একটি উপায় হলো আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ বলতে পারা। তাই ক্লায়েন্টকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করবেন না।
২৫. ফলোআপ করা : অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের ফলোআপ করতে ভয় পান। কিন্তু মনে রাখবেন, ফলোআপ করা ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২৬. লক্ষ্য নির্ধারণ করা : আপনার কাজ কতোদূর আগাচ্ছে কিংবা ঠিক পথে আগাচ্ছে কিনা, লক্ষ্য নির্ধারণ ব্যতীত সেটা কখনোই পরিমাপ করতে পারবেন না। তাই যৌক্তিক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, যেটা আপনি পূরন করতে পারবেন।
২৭. পরিকল্পনা করা : লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন? এবার সে লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন। প্রয়োজনে করণীয় কাজগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন। সময় পেলেই সেটাতে চোখ বুলিয়ে নিন।
২৮. সহযোগির সাহায্য নেওয়া : আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেন, তার মানে এই নয় যে সব কাজ আপনাকে একাই করতে হবে। বিশেষ কোন কাজের জন্য অন্যের সাহায্য নিন।
২৯. শেখার জন্য সময় রাখা : কথায় আছে, জানার কোন শেষ নেই, শেখার কোন বয়স নেই। আপনার দক্ষতা ও জ্ঞান আপটুডেট রাখুন। নিয়মিত নতুন কিছু শেখা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অপশনাল নয়।
৩০. ভালো কিছুর জন্য বিনিয়োগ : টাকা খরচ করার একটি উপযুক্ত খাত হলো নিজের জন্য একটা হাই কোয়ালিটি পিসি কেনা, সফটওয়্যার দরকার হলে সেটা কেনা এবং হাই স্পিড ইন্টারনেটের পেছনে খরচ করা। এগুলো অযথা সময় নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাবে এবং কাজ সহজ করবে।
৩১. সঠিক সফটওয়্যারের ব্যবহার : যদিও বেশিরভাগ কাজই ফ্রিওয়্যার টুল দিয়েই হয়ে যায়, কিন্তু কিছু কিছু কাজ করতে আপনাকে হয়তো কিছু সফটওয়্যার বা টুল কিনতে হতে পারে। সেসময় দেখে শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন যাতে কাজটি সঠিকভাবে শেষ করতে পারেন।
৩২. সাপোর্ট গ্রুপ তৈরি করা : সাধারণত ফ্রিল্যান্সাররা একাই কাজ করেন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহায্যের দরকার পড়ে। সুতরাং বন্ধুত্ব করা কিংবা বজায় রাখা সেটা সম্পূর্নই আপনার উপর নির্ভর করছে।
৩৩. ক্লায়েন্টের মন্তব্য সংগ্রহ করা : পুরাতন কিংবা নতুন ক্লায়েন্টদের সমর্থন কিংবা টেষ্টিমোনিয়াল আপনার মার্কেটিংকে আরও শক্তিশালী করবে। তাই, আপনার সম্পর্কে ক্লায়েন্টের পজিটিভ মন্তব্যগুলোকে আপনার পোর্টফোলিওতে তুলে ধরতে পারেন।
৩৪. নিজের প্রোডাক্ট তৈরি করা : বাড়তি আয়ের জন্যে নিজের কিছু প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন। যেমন টেমপ্লেট, ট্রেইনিং মডিউল, ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ইবুক এগুলো তৈরি করেও বিক্রি করতে পারেন।
৩৫. ইতিবাচক হওয়া : মনে রাখতে হবে, একজন ফ্রিল্যান্সারের ভালো মনোভাব তার জন্যে অনেক বড় একটা সম্পদ।
৩৬. নিজের উপর বিশ্বাস রাখা : আপনি যদি বিশ্বাস করেন করণীয় কাজটির জন্যে সঠিক ব্যক্তিটি আপনি নন, ক্লায়েন্ট আপনাকে সেটার জন্য যোগ্য ভাববে সেটা কিভাবে আশা করেন?
৩৭. নতুন কিছু করা : এক্সপেরিমেন্ট করতে ভয় পাবেন না।
৩৮. অনলাইনে নিজের মতামত বিশ্লেষণ করা : আপনি অনলাইনে যা বলেন কিংবা আপনার সম্পর্কে যা বলা হয় সেটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ, সঠিকভাবে সেটি মেনে চলুন।
৩৯. ভবিষ্যতের জন্যে প্রস্তুত হোন, দুর্দিনের জন্য সঞ্চয় করুন।
৪০. উপরের বিষয়গুলো নিয়মিত দেখুন ঠিকভাবে চলছে কিনা।
সৌজন্যঃ টেকশহর

Wednesday, April 9, 2014

নারী-পুরুষের মাঝে ‘কেবল বন্ধুত্ব’ অসম্ভব!

নারী-পুরুষের মাঝে ‘কেবল বন্ধুত্ব’ অসম্ভব!
লেখকঃ মুহাইমিনুল ইসলাম অন্তিক

-‘বন্ধুত্ব’- এই অতি পরিচিত শব্দটির সঠিক সংজ্ঞা কি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব? সম্ভবত না।
কারণ এই শব্দটির নেটওয়ার্ক একটি চার অক্ষরের শব্দ ‘ভালবাসা’-কে অতিক্রম করে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই সে মানে না কোনো ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ কিংবা বয়সের পার্থক্য। আর ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইটের কল্যাণে এখন এই বন্ধুত্ব হয়ে গেছে বিশ্বজনীন।

তবু অনেকের মনের মাঝে একটি প্রশ্ন ঠিকই ঘুরপাক খায়। বিপরীত লিঙ্গের দু’জন মানুষের মাঝে ‘কেবল বন্ধুত্ব’ নামক সম্পর্ক কি আসলেই থাকা সম্ভব? এই প্রশ্নে আমরা সবাই আসলে দুই দলে ভাগ হয়ে যাই। কেউ বলে, “হ্যা, সম্ভব”। কারণ আমরা দেখছি, দু’জন নারী-পুরুষ(যাদের মাঝে বন্ধুত্ব আছে) একসাথে খাচ্ছে, অফিসে কাজ করছে, কখনো বা ঘুরতেও যাচ্ছে- তবে কেবলই বন্ধু হিসেবে। নিজেদের বন্ধুত্বের সীমানা তখন কেউই অতিক্রম করছে না।
আবার কেউ কেউ জানায় তীব্র প্রতিবাদ। তারা তখন দু’জন ক্লাসমেটের মাঝে সম্পর্ক বা এরকম আরো নানা উদাহরণ টেনে এনে বলে- “না, এটা সম্ভব না”।
আচ্ছা, আমরা তো আমাদের নিজেদের মনের কথা বললাম এই বন্ধুত্ব নিয়ে। কিন্তু বিজ্ঞান কি বলে বিপরীত লিঙ্গের সাথে বন্ধুত্বের ব্যাপারে? চলুন জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে। পুরো লেখাটা পড়লে যেমন জানতে পারবেন নানা মজার তথ্য, তেমনি আপনার বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুটির প্রতি একটু রাগ হওয়াও অস্বাভাবিক হবে না!
তো এই ‘কেবল বন্ধুত্ব’ নামক টপিক, যা কি না এতদিন কেবল রূপালি পর্দাকে মাতিয়ে এসেছে, তাকে এবার বিজ্ঞানীরা নিয়ে এলেন সায়েন্স ল্যাবে। এজন্য তারা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলের ৮৮ জোড়া বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুকে নিয়ে একটি জরিপ চালালেন। তবে জরিপটি চালানোর সময় সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছিলো যাতে এক বন্ধুর মতামত আরেক বন্ধু জানতে না পারে সেজন্য।
তারা প্রত্যেক জোড়া বন্ধুকে প্রথমে আলাদা করলেন। এরপর একজনের হাতে ধরিয়ে দিলেন কিছু প্রশ্ন যেখানে অপর বন্ধুটি সম্পর্কে তার নানা রকম অনুভূতির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিলো। ৮৮ জোড়া বন্ধুর জন্য ছিলো এই একই ব্যবস্থা।
আর এই জরিপের ফলাফল যা ছিলো তাকে এক বাক্যে বলা যায়- ‘এইডা কিছু হইলো?’ টাইপের!!!
বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুর প্রতি নারী, পুরুষ দুই দলের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো অনেকটাই আলাদা।
নারীদের তুলনায় পুরুষেরা তাদের বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিলেন।
একইভাবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের মাঝে আরেকটি ধারণার প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে। আর তা হলো- “আমার বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুটিও হয়তো আমাকে পছন্দ করে” টাইপের চিন্তাভাবনা, যা ছিলো পুরোই ভুল। প্রকৃতপক্ষে নিজেদের যেকোনো ধরণের রোম্যান্টিক অনুভূতিকেই পুরুষেরা ‘উভমুখী বিক্রিয়া’ বলে ধরে নিয়েছিলেন।
এবার আসা যাক নারীদের কথায়। নারীরা কিন্তু তাদের বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুটিকে শুধুই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তাই ছেলে-বন্ধুদের(BOYFRIEND না কিন্তু :P) প্রতি তাদের আলাদা কোনো আকর্ষণের ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়নি। যা ছিলো, তা কেবলই ‘বন্ধুসুলভ আকর্ষণ’!
তারা এটাও মনে করেছেন যে, তাদের বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুরাও এই সম্পর্কটিকে তাদের মতোই ‘কেবল বন্ধুত্ব’ হিসেবে গ্রহণ করেছেন!
ফলে দেখা গেলো, নারী-পুরুষ দুই প্রজাতিই বন্ধু সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণাটি দিনে দিনে বাড়িয়েই চলেছে।

এমনকি ‘In a relationship’- টাইপের মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব পাতানোতেও দুই প্রজাতির মাঝে বেশ ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে। পুরুষরা তাদের বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুর সাথে(যিনি কি না In a relationship স্ট্যাটাসের অন্তর্গত) সব কিছু জেনেও একটি ‘রোম্যান্টিক ডেটিং’-এ বের হবার ব্যাপারে ছিলেন একেবারেই পজিটিভ!
তবে নারীরা এ ব্যাপারে ছিলেন বেশ সেনসিটিভ এবং তাই তাদের বেশিভাগের উত্তরই ছিলো নেগেটিভ...

এতকিছু নিয়ে গবেষণা করার পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন যে, বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে ‘কেবল বন্ধুত্ব’ নামক সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখা একজন নারীর তুলনায় একজন পুরুষের জন্য বেশ কষ্টকরই!
আর তাই তারা পুরুষদের জন্য এ সম্পর্কটিকে ‘Just Friendship’ না বলে বললেন ‘Partial Friendship’ :-D।

তাহলে কি নারী-পুরুষের মাঝে বন্ধুত্ত্বের সম্পর্ক সম্ভব নয়? গবেষকরা তখন মুচকি হেসে জানালেন- “আপনি যদি একজন নারী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি পুরুষ হন, তাহলে আপনার জন্য অনেকসময় এটা বেশ জটিলই হয়ে যাবে...”

“অর্ধেক বন্ধু তুমি, অর্ধেক Better half”!!!

Wednesday, March 19, 2014

বিশ্বাস করুন

বিশ্বাস করুন,আমি কবি হতে আসিনি,আমি নেতা হতে আসি নি-
আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম,প্রেম পেতে এসেছিলাম-সে প্রেম পেলামনা বলে আমি এই প্রেমহীন নীরস পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চির দিনের জন্য বিদায় নিলাম ।

--- কাজী নজরুল ইসলাম

Saturday, March 15, 2014

Search Engine Optimization (SEO)



Search engine optimization (SEO) is the process of improving quality of traffic and volume to a web site from search engines via natural search results. SEO is a way of optimizing the website with the use of meta tags, title tag and contents of the website to get good listing on organic search engine results, in major search engines like Google, Yahoo!, or MSN.
search engine uses a system called ‘Spider’ to crawl our information from the website and to determines the relevancy of our website content with the keyword search. There are many factors, such as content, number of back links to your site and your meta tags, these factors will decides how your website will be ranked. However, there is a no guarantee of getting top position in search engine results, because it takes some time and effort to make the linking and content is suitable. This will usually takes months to be effective, by this you will came to know how the search engine determines their organic result ranking.